Search any words, questions and so on here.

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা - প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করা নিয়ে কিছু কথা

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা - প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করা নিয়ে কিছু কথা

গ্রাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তির এবং গবেষণা সংক্রান্ত নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করাটা একটা বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক জায়গাতেই টিচিং এসিস্টেন্টশিপ বেশি থাকে না, এবং অধিকাংশ পিএইচডি শিক্ষার্থী রিসার্চ এসিস্টেন্টশিপের মাধ্যমে ফান্ডিং পেয়ে থাকেন। রিসার্চ এসিস্টেন্টশিপ এর ফান্ড আসে মূলত প্রফেসরদের নানা রিসার্চ গ্রান্ট থেকে। আবার অনেক জায়গায় ভর্তির আগেই এডভাইজর ঠিক করে যেতে হয়, সেই ক্ষেত্রে প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করা দরকার।

** কখন থেকে যোগাযোগ করবেন?

একটা বড় ভুল হলো ভর্তির আবেদনের সময়ের ঠিক আগে আগে এপ্লাই করা। কারো সাথে কাজ করবেন বা কারো কাজে আগ্রহ প্রকাশ করছেন, এই ব্যাপারটাতে সময় লাগে। প্রফেসরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, তাঁদের সাথে ইমেইলে আলাপচারিতা করা, এসব রাতারাতি করে ফেলা সম্ভব না। সেজন্য অন্তত মাস ছয়েক সময় হাতে নিয়ে কাজ শুরু করা উচিৎ। সবচেয়ে ভালো হয় যখন ভর্তির আবেদন করবেন তার অন্তত বছর দেড়েক আগে থেকে এই কাজটা শুরু করা। কেবল ভর্তির সুবিধার জন্যই না, বরং অনেক ক্ষেত্রে সামার ইন্টার্নশিপের জন্যও প্রফেসরদের সাথে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারে। আমি নিজে প্রতি বছর ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইন্টার্নশিপের আবেদন পাই, আর রিসার্চে আগ্রহ প্রকাশ করেও অনেকে ইমেইল করে। কাজেই আগে থেকে যোগাযোগ শুরু করেন।

** কার সাথে যোগাযোগ করবেন?

শুরুতেই প্রশ্ন -- আপনি আসলে কী চান? আপনার লক্ষ্য কি আরএ এর ফান্ডিং বের করা, নাকি রিসার্চের জন্য যোগাযোগ করতে থাকা? ভর্তি এবং ফান্ডিং যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনার এমন কাউকে বের করতে হবে যাঁর হাতে ফান্ডিং আছে এবং যিনি নতুন ছাত্র নিচ্ছেন। এই তথ্যগুলা বের করতে হলে আপনাকে একটু হোমওয়ার্ক করতে হবে -- নানা জায়গায় খুঁজে দেখতে হবে --

(১) প্রফেসরদের ওয়েবসাইট: অনেক প্রফেসরই নতুন ছাত্র নেয়ার ইচ্ছা থাকলে ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেন।

(২) ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট: আবার অনেক সময়ে প্রফেসরেরা নতুন গ্রান্ট পেলে রিসার্চ এসিস্টেন্ট নিয়োগ দেন। সেই গ্রান্টের খবরও ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়, সেটা খেয়াল করে দেখেন।

(৩) ফান্ডিং এজেন্সির সাইট: আরেকটা উপায় হলো ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশনের সাইট (NSF) এ গিয়ে সাম্প্রতিক গ্রান্ট / এওয়ার্ড এর পাতা ঘেঁটে দেখা এবং সেই সব গ্রান্টের মূল প্রফেসরদের নাম বের করা। (সাইটে গিয়ে সার্চ পেইজে গিয়ে এই তথ্য পাবেন)। গ্রান্ট পেলেই নতুন এসিস্টেন্ট নিবেন সেটা নিশ্চিত না, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই গ্রান্ট পাওয়ার পরে পরে প্রফেসরেরা নতুন রিসার্চ এসিস্টেন্ট নেন।

(৪) নতুন প্রফেসর: আবার নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন এসিস্টেন্ট প্রফেসর হিসাবে যাঁরা যোগ দেন, তাঁরা সবাইই নিজের রিসার্চ গ্রুপ গড়ে তোলার জন্য নতুন এসিস্টেন্ট নেন। সদ্য যোগ দেয়ার প্রফেসরদের ঘোষণা অনেক ক্ষেত্রেই ডিপার্টমেন্টের সাইটে দেয়া থাকে, আবার প্রফেসরদের নিজেদের সাইট ও সেখানে দেয়া তাঁদের সিভি দেখেও বের করা যায় কে সদ্য যোগ দিয়েছেন।

রিসার্চে সহযোগিতা বা সহায়তা করার জন্য অবশ্য ফান্ডিং বা গ্রান্ট নিয়ে মাথা ঘামাবার দরকার নাই -- আপনার যে বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহ আছে, সেই বিষয়ের নামকরা প্রফেসরদের খুঁজে বের করুন।

#আমেরিকায়_উচ্চশিক্ষা #আমেরিকায়উচ্চশিক্ষা

লিখেছেনঃ ড. রাগিব হাসান

Dr. Ragib Hasan

Associate Professor,

Dept. of Computer and Information Sciences,

University of Alabama at Birmingham

He also leads the SECuRE and Trustworthy Computing Lab (SECRETLab).

And the founder of Shikkhok.com

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে লেখকের আরো একটি চমৎকার লিখাঃ আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ! ফান্ডিং না পেলে কীভাবে পড়বেন?

===========================================================================================

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags