Search any words, questions and so on here.

আমেরিকায় চাকরি Apply for OPT পর্ব-২.২

আমেরিকায় চাকরি Apply for OPT পর্ব-২.২

চাকরির ইন্টারভিউ প্রসেস নিয়ে লেখার ইচ্ছা অনেকদিন ধরেই, কিন্তু নানা ব্যস্ততায় আর আলসেমিতে আর হয়ে উঠছিল না। আর এ ব্যাপারটা নিয়ে লিখতে গেলে এতকিছু বলার আছে যে এক পর্বে শেষ করাও কঠিন। যাই হোক, আজকে থাকলো আমেরিকায় চাকরির ইন্টারভিউ পদ্ধতির সারমর্ম (এ লেখাটি শুধুমাত্র রেগুলার পদ্ধতিতে এপ্লাই করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য – কোন এজেন্সি/কন্সাল্টেন্সি ফার্মের মাধ্যমে এপ্লাই করে থাকলে এসব সাধারণত লাগে না)।

আমেরিকায় চাকরির ইন্টারভিউ সাধারণত দুই রকম হয়। সেগুলো হলঃ

১. ফোন ইন্টারভিউ ২. মুখোমুখি ইন্টারভিউ

তবে এখানে বলে রাখা ভালো, এর মানে এই না যে দুটি ইন্টারভিউ দিলেই চাকরি হয়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দুই ধরণের ইন্টারভিউয়ের বিভিন্ন কম্বিনেশন অতিক্রম করতে পারলেই কেবল চাকরি নিশ্চিত হয়। একটা চাকরির জন্য সাধারনত ২-৩ টা ফোন ইন্টারভিউ আর ১-২ বার মুখোমুখি ইন্টারভিউ খুবই কমন ঘটনা। এক্ষেত্রে Rule of Thumb হচ্ছে - চাকরি যত উপরের লেভেলের, স্যালারি যত বেশি এবং কোম্পানি যত ভালো, ইন্টারভিউ পদ্ধতি তত দীর্ঘ এবং জটিল।

প্রথমে আসা যাক ফোন ইন্টারভিউয়ের বিষয়ে। প্রায় সব চাকরিতেই প্রথম ধাপে কোম্পানির রিক্রুটার আপনার ফোনে ইন্টারভিউ নেবে। এই প্রাথমিক ইন্টারভিউয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে যেসব ক্যান্ডিডেট ওই পোস্টের জন্য একেবারেই ফিট না তাদের পরবর্তী ধাপের আগে বাদ দেওয়া। বাংলাদেশের সাথে এখানে পার্থক্য হচ্ছে, এখানে কোন রিক্রুটার হঠাৎ বিনা নোটিশে কখনও ফোন দেয় না। সবসময়ই তারা আগে ইমেইল দিয়ে আপনার সাথে থেকে টাইম শিডিউল করবে এবং ওই সময়েই কেবল ফোন দেবে। যদি কোম্পানির খুব তাড়া না থাকে, তাহলে সাধারণত এটার ফলাফল জানতে ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে, অনেক সময় আরও বেশি।

প্রাথমিক ফোন ইন্টারভিউ পুরোপুরি নন-টেকনিক্যাল হয়, এখানে সাধারণত রিক্রুটাররা কোম্পানি সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন আর আপনি সিরিয়াস ক্যান্ডিডেট কিনা সেটাই যাচাই করার চেষ্টা করে – সাথে সাথে আপনার স্যালারি এক্সপেক্টেশান সম্পর্কে ধারনা পেতে চায়। যদি এটা আপনি পার হতে পারেন, তারপরে দুইরকম ঘটনা ঘটতে পারে। ছোট কোম্পানির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই পর্যায়েই মুখোমুখি ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয় তা হল, দ্বিতীয় আরেকটা ফোন ইন্টারভিউ – কিন্তু এবার আর রিক্রুটারের সাথে না, আপনার ভবিষ্যৎ ম্যানেজার অথবা তার সমপর্যায়ের কারও সাথে। অনেক সময় এই ধাপে একসাথে ২-৩ জন আপনার ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকতে পারে। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরির ক্ষেত্রে এ পর্যায়ে সাধারণত ম্যানেজার এবং ১-২ জন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আপনার ইন্টারভিউ নেবে। এই দ্বিতীয় ইন্টারভিউ প্রায় সবসময়ই কিছুটা টেকনিক্যাল হবে, আপনি যে ব্যাকগ্রাউন্ডেরই হোন না কেন। অনেক সময় এই পর্যায়ে আপনাকে অনলাইনে কোন Quiz/Questionnaire/Problem সমাধান করতে দিতে পারে, বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড এর ক্ষেত্রে।

এখানে আবারও মনে করিয়ে দেই, ফোন ইন্টারভিউ এরপর আরও হতে পারে – তবে মূল কাঠামো এরকমই থাকবে। যদি সবগুলো ফোন ইন্টারভিউ এর পরে আপনাকে তাদের পছন্দ হয় তখন আপনাকে তারা সরাসরি ইন্টারভিউয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানাবে। এক্ষেত্রে সাধারণত বেশিরভাগ কোম্পানিই আপনার ভ্রমণ এবং থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করে থাকে। কোম্পানি লোকেশন যদি বেশি দূরে হয়, বড় বড় কোম্পানি অনেক সময় ফ্লাইটের টিকিটের খরচও দিয়ে থাকে।

এবার আসা যাক মুখোমুখি ইন্টারভিউয়ের বিষয়ে। আগেই বলে নেই এটার স্ট্রাকচার খুবই পরিবর্তনশীল – কোম্পানি এবং চাকরির পোস্টের উপর নির্ভর করে তারা কিভাবে এটা পরিচালনা করবে। তবে কিছু বিষয় যেকোনো ইন্ডাস্ট্রির চাকরির জন্য প্রযোজ্যঃ

  • Interview will be done by multiple persons from different level
  • It may take anywhere from 2 hours to whole day
  • You will definitely be interviewed by your potential manager and someone in your department
  • Interviewers will be checking your technical skills as well as your soft skills, they will try to determine if you will be a good fit for the company
  • There will be a HR interview (Salary discussion alert!)

মুখোমুখি ইন্টারভিউয়ের পরে একজন ক্যান্ডিডেট হিসেবে আপনার আর তেমন কিছু করার থাকে না। কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে আরেকবার ইন্টারভিউতে ডাকতে পারে, কিন্তু সেটা হয় কদাচিৎ। যদি সব ভালোয় ভালোয় হয় এবং আপনাকে তাদের পছন্দ হয় ১-২ সপ্তাহের মধ্যে আপনি পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে আপডেট পাবেন। এই পর্যায়ে চলে আসে রেফারেন্স দেওয়ার ব্যাপারটা। এখানে বলে রাখি, উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো রেফারেন্স যতটা গুরুত্বপূর্ণ – চাকরির ক্ষেত্রে ততটা না। মূলত এটার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার দেওয়া সব তথ্য সঠিক কিনা সেটাই যাচাই করা। রেফারেন্স আপনার কোন প্রোফেসর থেকে শুরু করে কোন কলিগ-ক্লাসমেটও দিতে পারে, তবে তাদের অবস্থান যাতে আমেরিকাতেই হয়।

ফাইনালি বেশিরভাগ কোম্পানিই একটা ব্যাকগ্রাউন্ড চেক অনেক ক্ষেত্রে মেডিকেল চেকও করে থাকে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই – এগুলো মূলত রুটিন। সব ফরমালিটি শেষ হলে আপনার সাথে আগে থেকে ঠিক করা তারিখে আপনি চাকরি শুরু করতে পারবেন। অনেক কোম্পানি এখানে আবার এককালীন কিছু Signing Bonus/Relocation Sum দিয়ে থাকে।

নতুন চাকরির শুরুতেও অনেক ফরমালিটি আছে যেমনঃ 401K Package, Tax Withholding setup, Benefits and Health Insurance enrollment ইত্যাদি। সেসব নিয়ে আরেকদিন লিখব।

আগামী পর্বে থাকবে ইন্টারভিউ নিয়ে কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স, সেই সাথে কিভাবে কোন ধরনের প্রশ্নের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় সে ব্যাপারে কিছু সাজেশন। আজ এ পর্যন্তই থাকুক।

Happy Job Hunting!

পর্ব-১ (Apply for OPT) এখানেঃ 

পর্ব ২.১ (Finding a Job) এখানেঃ 

লেখক পরিচিতিঃ 

Navid Imran

Test Engineer, Itron Inc.

Former teaching assistant and Math tutor, South Dakota State University,

Former Treasurer, Eta Kappa Nu (HKN)

===========================================================================================

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags