Search any words, questions and so on here.

শুন্য থেকে জিআরই (GRE) প্রস্তুতি ০৪

শুন্য থেকে জিআরই (GRE) প্রস্তুতি ০৪

শুন্য থেকে জিআরই (GRE) প্রস্তুতি ০৪ :


জিআরই' ভার্বাল সেক্শনের (verbal section) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে রিডিং কম্প্রিহেনশন (Reading Comprehension-RC) জিআরই পরীক্ষায় সাধারণত ১০ টির মতো রিডিং প্যাসেজ কিংবা কম্প্রিহেনশন থাকে। অধিকাংশ প্যাসেজ একটি প্যারা নিয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু রিডিং প্যাসেজ কিংবা কম্প্রিহেনশন বেশ কয়েকটি প্যারাযুক্ত হতে পারে। 
জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা রকমের বিষয়গুলো নিয়ে এই রিডিং প্যাসেজ (reading passage) কিংবা কম্প্রিহেনশন (comprehension) তৈরী করা হয়। 
যদিও বইগুলোতে জিআরই' রিডিং প্যাসেজ পড়া, বোঝা এবং সমস্যা সমাধানের অনেক রকম পরামর্শ দেয়া রয়েছে কিন্তু ইংরেজি যাদের সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ (second language) তাদের অনেকের জন্যই জিআরই' ভার্বাল সেকশন (verbal section of GRE) একটি ভীতির নাম। আর ভার্বাল সেকশনের একটি বড় ভীতির নাম হচ্ছে রিডিং কম্প্রিহেনশন।


জিআরইর রিডিং কম্প্রিহেনশন সাধারণত নিচের তিনটি মূল কারণে অনেকের কাছেই ভীতির
<> প্যাসেজ এর অর্থ ঠিক করে না বোঝা 
<> প্যাসেজ দীর্ঘ বাক্যের ব্যবহার 
<> প্যাসেজ এর এক কিংবা একাধিক শব্দের অর্থ অজানা
যাই হোক, জিআরই পরীক্ষার ভালো ফলাফল করতে হলে রিডিং কম্প্রিহেনশন সেক্শনে ভালো করতেই হবে।
জিআরই পরীক্ষার রিডিং কম্প্রিহেনশন ঠিক করে বোঝা এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিক করে দেয়ার জন্য নিচের কৌশলগুলো ব্যবহার করলে ভালো উপকার পেতে পারেন
 

১। প্রথমেই আমাদের মনে রাখতে হবে, যে কোনো রিডিং কম্প্রিহেনশনে সাধারণত চারটি বিষয় থাকে
পয়েন্ট (point), ব্যাকগ্রাউন্ড (background), সাপোর্ট (support)এবং ইমপ্লিকেশন (implication) 
পয়েন্ট হচ্ছে মূলত প্যাসেজটির মূল তথ্য কিংবা গুরুত্বপূর্ণ 
তথ্য। পয়েন্টকে ঠিক করে জানতে হলে আমাদের লাগবে background আর সাপোর্ট হচ্ছে মূলত উদাহরণ কিংবা পরিসংখ্যান কিংবা কোনো ফলাফল যা আমাদের রিডিং প্যাসেজটি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দিয়ে থাকে।আর ইমপ্লিকেশন হচ্ছে মূলত মেইন পয়েন্টের ফলাফল। যে কোনো প্যাসেজ পড়ার সময় প্রথমেই এই চারটি বিষয় জানতে পারলে পরবর্তীতে সমাধান অনেক সহজ হয়। তবে সব প্যাসেজ এই চারটি বিষয় সব সময় এক সাথে নাও থাকতে পারে। তবে অনেক সময়েই পাবেন। 
 

২। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা হরহামেশা যে ভুলটি করি তা হলো আমরা পুরো প্যাসেজ পড়তে যাই এবং এতে করে আমাদের স্কোর কম আসে কারণ পুরো প্যাসেজ পড়ে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ক্লিয়ার মিনিং (clear meaning) বের করতে ব্যর্থ হই। 
জিআরইর রিডিং কম্প্রিহেনশন এর জন্য রিডিং কৌশল হবে ভিন্ন রকম। 
ছোট কিংবা একটি প্যারাবিশিষ্ট কম্প্রিহেনশনের জন্য প্রথম লাইন এবং শেষ লাইন পড়বেন। এতে করে প্যাসেজটি সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা চলে আসবে। 
আর বড় কিংবা একাধিক প্যারাবিশিষ্ট কম্প্রিহেনশনের জন্য প্রথম 
পারার লাইন এবং শেষের পারার শেষ লাইন পড়তে হবে। 
তারপর সরাসরি চলে যেতে হবে প্রশ্ন সমাধানে। 
 

৩। কিছু কিছু প্রশ্ন থাকে যেগুলোর উত্তরের জন্য আপনাকে প্যাসেজ এর কোনো বিশেষ প্যারা কিংবা লাইন দেখতে হয়। সেই ক্ষেত্রে ওই প্রশ্ন থেকে একটি কিংবা দুটি কীওয়ার্ড বাছাই করে এই কীওয়ার্ডগুলোকে প্যাসেজ এর মধ্যে খুঁজে দেখতে হবে। এই পদ্ধতিকে অনেকে স্ক্যানও বলেন। 
 

৪। প্যাসেজ এর কোনো শব্দ কিংবা বাক্যের অর্থ আপনি সঠিক করে নাও বোঝতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ইন কনটেক্সট কিংবা পুরো বাক্য এবং তার আগের এবং পরের বাক্যটি পড়ে লাইনটির অর্থ বোঝার চেষ্টা করা। 
এতে করে আপনি মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে যাবেন যা আপনার স্কোর বাড়াতে সাহায্য করবে।
 

৫। জিআরই' রিডিং কম্প্রিহেনশনে দেয়া প্যাসেজগুলোর প্রশ্নগুলোর উত্তরমালা কিংবা অপসন থেকে এমন পয়েন্ট বাদ দিতে হবে যার সাথে প্যাসেজ এর কোনো সম্পর্ক নেই কিংবা যাতে প্যাসেজ এর মধ্যে 
বর্ণিত তথ্য কিছুটা কিংবা আংশিক পরিবর্তন করে দেয়া আছে। 
 

৬। জিআরই পরীক্ষায় আবার এক ধরণের প্রশ্ন আছে যাতে তিনটি চয়েস দেয়া থাকে এবং এই তিনটির মধ্যে প্রযোজ্য চয়েস ঠিক করতে হয়। 
অনেক সময় তিনটি চয়েসই সঠিক হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে। 
সেই ক্ষেত্রে প্রতিটি চয়েসকে ভিন্নভাবে বিবেচনা করে তারপর উত্তর করতে হবে। 
 

৭। মেইন আইডিয়া কিংবা মেইন পয়েন্ট বের করার ক্ষেত্রে বড় প্যাসেজ কিংবা একের অধিক বিষয়টি প্যারাবিশিষ্ট কম্প্রিহেনশনগুলোর প্রত্যেক প্যারার প্রথম লাইন এবং শেষ লাইন পড়ে কীওয়ার্ড (keyword) বের করে রাখুন। 
এই কীওয়ার্ডগুলোকে নিজের মনের ভিতরে চিন্তা করলে যে ধারণা আপনি পাবেন তাই হচ্ছে মূলত মেইন আইডিয়া (main idea) কিংবা মেইন পয়েন্ট (main point) 
এবার এই ধারণাটির সাথে answer choice মিলিয়ে আপনি সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। 
 

৮। অনেক সময় রিডিং কম্প্রিহেনশনে আপনার কাছে প্যাসেজটি নিয়ে author এর কি মনোভাব তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সবসময় মনে রাখবেন জিআরইতে author এর টোন (tone) কোনোদিনই নেগেটিভ হয় না। 
 

. অনেক সময় কম্প্রিহেনশন কিংবা প্রশ্নে আপনি অনেক বড় কিংবা জটিল বাক্য পেতে পারেন যার অর্থ আপনার কাছে বোধগম্য নাও হতে পারে. অনেককেই বলতে শোনা যায় যে জিআরই' জন্য গ্রামার জানা লাগে না
গ্রামার হচ্ছে ফাউন্ডেশন. আপনি উপরের দিকে অনেক তলা পর্যন্ত তৈরী করতে পারবেন যদি আপনার ফাউন্ডেশন ভালো থাকে
আর জটিল বাক্যগুলোকে বুঝতে হলে আপনাকে গ্রামার জানা থাকা লাগবে. গ্রামারের জ্ঞান দিয়েই আপনি জটিল বাক্যকে ছোট ছোট বাক্য হিসেবে বিভক্ত করে তারপর অর্থ বুঝতে পারবেন


পরিশেষে বলবো রিডিং একটি আর্ট। রিডিং সেক্শনে ভালো করতে হলে আসলে অনুশীলনের বিকল্প নেই। 
অফিসিয়াল জিআরই গাইডগুলো থেকে রিডিং সেক্শনটি ভালো করে অনুশীলন করুন। কারণ রিয়েল জিআরইতে সাধারণত এই ধরণের প্যাসেজ এবং প্রশ্নগুলো করা হয়ে থাকে।
আর হা প্রথম দিনগুলোতে একটু খারাপ লাগবে, হতাশাও আসতে পারে. কিন্তু কোনো কিছুতেই মন খারাপ করা যাবে না. সবসময় পসিটিভ থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে

 

প্রথম পর্বের লিঙ্ক

দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক

তৃতীয় পর্বের লিঙ্ক


সবার সাফল্য কামনা করছি
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন
আর অন্যায়কে সর্বদা না বলুন. একে অন্যের সাহায্য করুন


নূর-আল-আহাদ
বিবিএ (ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা) ১৪ তম ব্যাচ 
এমবিএ (ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া
ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষক (জাপান)
(Acquiring knowledge does not have a full-stop, rather it always has comma - Ahad)

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags