নভিস/বিগিনাররা কোন গবেষনামুলক কার্যকলাপ কোত্থেকে, কিভাবে শুরু করবে।
Raquib Khan
Doctoral Assistant at Western Michigan University
Studies at Western Michigan University
Past: Purdue University Northwest and Chittagong University of Engineering & Technology
এই পোস্ট ছোট ছোট সেইসব ভাইবোনদের জন্য, যারা বিভিন্ন সময়ে রিসার্চ পেপার লেখা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। সময়ের অভাবে অনেককে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারি না বেশিরভাগ সময়েই। আর চাইলেও অল্প সময়ে অল্প কথায় এত বড় ডোমেইনের প্রশ্নের উত্তর কিভাবে দেয়া যেতে পারে, সেটাও আরেকটা চ্যালেঞ্জ। এমনকি এরকম কয়েকটা আর্টিকেল লিখেও পুরো ধারণাটা কনভে করাটা খুবই কঠিন। এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি আমার সবচেয়ে বেশি পাওয়া প্রশ্নক্ষেত্রটাকে অ্যাড্রেস করতে। ক্ষেত্রটা হচ্ছে "লিটারেচার" সম্পর্কিত। কি পড়ব, কেন পড়ব, কিভাবে পড়ব ইত্যাদি। আবারও বলছি, এই পোস্টটা শুধুমাত্র সেইসব নভিস/বিগিনারদের জন্য, যারা হয়ত আন্ডারগ্র্যাড পড়ছে, বা মাত্র পাশ করেছে এবং গবেষনামুলক কার্যকলাপ শুরু করতে ইচ্ছুক, কিন্তু কোন ধারনা নাই কোত্থেকে, কিভাবে শুরু করবে।
যেকোন রিসার্চের প্রথম শর্ত হচ্ছে এটা আত্মস্থ করা এবং মেনে নেয়া যে, এটা একটা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় দেয়ার কোন বিকল্প নাই, নাই কোন শর্টকাট। তবে এই লেখার কিছু কিছু জায়গায় আমি চেষ্টা করবো কিছু আইডিয়া দেয়ার, কিভাবে নিজেকে অর্গানাইজ করলে অপচয় হয়ে যাওয়া সময়ের পরিমান কমিয়ে আনা সম্ভব।
প্রথমেই জানতে হবে তুমি কি পছন্দ কর। আরও স্পষ্ট করে বললে, তোমার কারিকুলামের কোন ক্ষেত্রগুলো তোমার আগ্রহ স্রিষ্টি করে এবং আগ্রহটা ধরে রাখে। যেটা নিয়ে তুমি নিজে ইন্টারেস্টেড না, সেটা নিয়ে কাজ শুরু করলেও কতটুকু আগাবে, আদৌ শেষ হবে কিনা, যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। যেই এরিয়া পছন্দ হবে, সেগুলোর উপর অন্যদের লেখা রিসার্চ পেপার খোঁজা শুরু করো।
কেন পড়বে অন্যদের লেখাগুলোঃ
- তুমি ঐ ক্ষেত্রে অন্যদের কাজ সম্পর্কে ধারনা পেতে চাও। কারণ তোমার নিজের রিসার্চ পেপার, যেটা তুমি লিখতে চাও বলে এতো আয়োজন, সেটা ইতিমধ্যেই কেও লিখে ফেলেছে কি না সেটা তোমার জানা দরকার। জানা জিনিষকে নতুন করে খোঁজার কোন অর্থ নাই।
- যারা ঐ এরিয়াতে কাজ করছে, সেই এরিয়াতে তাদের অবদান কতটুকু এবং তাদের অজানা কতটুকু। এই অজানা তথ্যটাকে আমরা বলি "ইনফর্মেশন গ্যাপ" বা "গ্যাপ ইন দা লিটারেচার"। হতে পারে তুমি সেই "গ্যাপ" পুরন করতে ইচ্ছুক। এটাও তোমার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
- তুমি যখন নিজে কোন একটা প্রশ্নের জবাব খোঁজা শুরু করবে, তখন ছোটবেলার অংক ক্লাসের মত অনেক সময়েই তোমার "আমরা জানি..." টাইপ কথা বলতে হবে। এরকম ক্ষেত্রে প্রতিবারেই তোমাকে মূল লেখকের রেফারেন্স দিতে হবে (রেফারেন্স না দেয়াটা আইনতঃ দন্ডনীয়)। তাই পড়ার সময় একটু অর্গানাইজড হয়ে পড়লে প্রচুর সময় বাঁচানো সম্ভব।
কিভাবে জানবে কোন পেপারগুলো তোমার পছন্দের সাথে সম্পর্কিতঃ
তোমার হাতে এইমাত্র আমার ধরিয়ে দেয়া একটা রিসার্চ পেপার যদি হয় তোমার জীবনে দেখা প্রথম পেপার, তুমি খুব সম্ভব প্রথম থেকে পড়ে যেতে চেষ্টা করবে। খুব সম্ভব টাইটেলটা পড়বে, এরপর অ্যাবস্ট্রাক্ট, ইন্ট্রোডাকশন, লিটারেচার, পার্পাস... ইত্যাদি, যেভাবে লেখা আছে, সেভাবেই। এটা কোরো না। প্রথমে দেখো টাইটেলটা। এটাই অনেকাংশে তোমাকে বলে দেবে এটা তোমার পছন্দের এরিয়ার টপিক কি না। টাইটেল দেখে যদি নিশ্চিত হতে না পারো, চলে যাও অ্যাবস্ট্রাক্টে। চোখ বুলিয়ে যাও। এখানে খুব সংক্ষেপে পুরা পেপারটার একটা বর্ননা দেয়া থাকে। এই জায়গায় তুমি মোটামুটি বুঝে যাবে এই পেপারটা তোমার টপিকের সাথে সম্পর্কিত কিনা। পুরো পেপারটা ফ্রি না থাকলেও বেশিরভাগ সময়েই অ্যাবস্ট্রাক্টটা ফ্রি পাওয়া যায়। শুধু এটা পড়েও তুমি বুঝে ফেলবে যে পুরো পেপারটা (যদি সম্পর্কিত এবং ফ্রি না হয়) খোঁজার জন্য সময় ব্যয় করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে কিনা।
কিভাবে হাতে পাবে পছন্দের লেখাগুলোঃ
- প্রথমেই খোঁজ নাও তোমার নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন গবেষনাপত্রের ফ্রি অ্যাক্সেস কিভাবে পাওয়া যাবে। উন্নত বিশ্বে সাধারনত ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী থেকে এই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।
- গুগল স্কলার হচ্ছে "এতিম/মিস্কীন" (যাদের কোথাও তেমন কোন ফ্রি অ্যাক্সেস নাই) স্টুডেন্টদের জন্য একটা ভালো সোর্স। এছাড়াও বিভিন্ন রিসার্চ ফোরামে স্টুডেন্ট মেম্বারদের জন্য অনেক ফ্রি কন্টেন্ট থাকে, যা থেকে তুমি পেয়েও যেতে পারো তোমার পছন্দের কিছু পেপার।
- এটা একটা ছিঁচকা বুদ্ধি। তুমি যদি জানো তুমি কোন লেখকের কোন পেপারটা চাও, তাহলে বন্ধুবান্ধব বা ভাইবোন কারোর সাহায্য নাও, যার ঐ পেপারটায় ফ্রি অ্যাক্সেস আছে।
- কোন একটা পেপারের কিছু কন্টেন্ট যদি দেখো খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে এবং তুমি ঐ সম্পর্কিত আরও কিছু পেপারের হদিস চাও, চলে যাও পেপারটার শেষে রেফারেন্স সেকশানে। আশা করা যায়, ওখানে আরো কিছু ইন্টারেস্টিং লিঙ্ক পেয়ে যাবে - অন্তত এটা জানবে, ঐ বিষয়ে আর কি কি পেপার পড়া যেতে পারে।
কিভাবে পড়বে পেপারগুলোঃ
- পছন্দের পেপারটা হাতে পেয়েই শুরু থেকে গৎ বাঁধা রিডিং দিয়ে যেও না। তাতে পুরো পেপারের মুল ইনফর্মেশন, থিম এবং স্পেশাল কেস / এক্সেপশানগুলো সম্পর্কে ধারনা পাওয়া খুবই সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। প্রথমেই, টেক ওয়ান স্টেপ ব্যাক। অ্যাবস্ট্রাক্টেই তোমার একটা আবছা ধারনা হয়ে যাবে, মোটামুটি কি বিষয়ে গবেষক কাজ করেছে, কি করতে চেয়েছে, আদৌ সেটা করতে পেরেছে বলে দাবী করেছে কিনা, কোন বিশাল/উল্লেখযোগ্য ফলাফল (যদি থাকে) ইত্যাদি।
- এরপর সোজা চলে যাবে রিসার্চ পারপাসে। খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে না পড়ে চোখ বুলিয়ে যাও। খুঁজে বের করো পেপারটা কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। অথবা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটা করা হয়েছে।
- এরপর পেপারের ধরন আর তোমার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে তুমি মেথডোলজি আগে পড়বে নাকি রেজাল্ট/কনক্লুশন আগে পড়বে। ধারণাটা হচ্ছে, খুব বেশি ডিটেইলসে যাওয়ার আগেই বুঝে ফেলা যে লেখক কি করতে যাচ্ছে বা কি করার প্ল্যান করেছে। ওভারঅল এই ধারণাটা পেয়ে গেলে পুরো গল্পটা পড়তে আর তেমন সময় লাগে না।
- পড়ার সময় কোন অংশ যদি বুঝতে না পারো, দমে যাবে না। যেই অংশ বুঝতে পারছো, সেটাই আপাতত যথেষ্ঠ ধরে নিয়ে চালিয়ে যাও। কোন টার্ম যদি দুর্বোধ্য ঠেকে, গুগল করে বা টেক্সটবই থেকে তার সম্পর্কে একটা ধারনা নেয়ার চেষ্টা করো। টেক্সটবই থেকেও যদি কোন আইডিয়া ক্লিয়ার না হয়, তুমি পেপারটার রাইটারের ইমেইল খুঁজে বের করে সরাসরি তাকে জিজ্ঞেসও করতে পারো। আশা করা যায়, একটা ধারনা পাবে। মনে রাখবে, যত বেশি বেশি রিসার্চ পেপার পড়বে, বুঝতে না পারা ঐ টাইপ জিনিষের সংখ্যা তত কমতে থাকবে।
কিভাবে অর্গানাইজ করবেঃ
যখন যা পড়বে, একটা এক্সেল ফাইলে নোট করবে। নিজের সুবিধামত এই অংশটা অর্গানাইজ করবে। তবে পাঁচটা এলিমেন্ট থাকা আবশ্যক। "অথার", "টাইটেল", "ইয়ার", "রেজাল্ট/ফাইন্ডিংস" এবং "এই কাজটা তোমার ইন্টারেস্টের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত?" শেষ পয়েন্টটাতে কিছু লিখতে পারলে ভালো। না লিখতে পারলেও ক্ষতি নাই। প্রথমদিকে বরং কিছু লিখতে না পারাটাই স্বাভাবিক। একটা সময় দেখবে এই পেপারগুলোর ফাইন্ডিংসের সাথে নিজের রিসার্চের সংগতি/পার্থক্যও খুঁজে পাচ্ছো। নোট কর সবগুলো। শেষকালে এই ফাইলটাই তোমার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেবে বলে আশা করা যায়।
শেষ কথাঃ
বিভিন্ন মেজর/সাব্জেক্টের রিসার্চের জন্য বিভিন্নরকম টেকনিক কাজে দেয়। এটা অনেকসময় তোমার স্ট্রেংথ/উইকনেসের উপরেও নির্ভর করে। মূল কথা হলো, তুমি রিসার্চে কতটা আগ্রহী, শেষ দেখতে কতটা ড্রিভেন - তার উপরেই নির্ভর করে তোমার সাফল্য। শেষ করবো আমার স্কুলের তিনজন প্রফেসরের তিনটা উক্তি দিয়ে - এগুলো আমার খুবই প্রিয় এবং অনেকক্ষেত্রে আমার মোটিভেশন।
১। তুমি যদি তোমার কথা তিনটা শব্দে বলতে পারো, পাঁচটা বলতে যেও না।
২। তোমার করা কাজটা যদি যথেষ্ঠ কঠিন না হয়, তুমিও যথেষ্ঠ মুল্যবান না।
৩। হাল ছেড়ে দেয়াটাই ব্যররথ হওয়ার একমাত্র উপায় - সিদ্ধান্তটাও তোমারই।
দিনটা ভালো কাটুক সবার।
নোটঃ এই লেখা থেকে যে কারোর যে কোন কন্সট্রাক্টিভ উপকার হলেই আমি খুশি। বিজ্ঞজনের নতুন কোন ইনপুটকেও স্বাগতম।
===========================================================================================
যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড
জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট
You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.
Related Posts
- Admission and funding in USA from Medical background Part: 2
- Admission and funding in USA from Medical background Part: 1
- আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা - বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিবেন কীভাবে?
- বিভিন্ন দেশে এপ্লাই করার প্রক্রিয়া, ক্রেডিট ট্রান্সফার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন-হাউস স্কলারশিপ পর্ব-১
- একজন প্রফেসরের জবানবন্দী
Recent Posts
- GRE verbal reasoning effective time management strategy
- Should you take home based GRE test?
- IELTS প্রবচন পর্ব - ০৮
- উচ্চশিক্ষায় সিজিপিএ বনাম জিআরই
- জি আর ই সম্পর্কে জানা অজানার কিছু মজার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
Categories
- Interview
- Tutorial
- Standard Test
- Documents
- Decision Making
- Preparation
- Funding
- University Selection
- Living Abroad
- Others
- Scholarship
- Journals
- Application
- Research
- Life in USA
- International Tour
- Job
Tags
- USA
- Speaking
- IELTS
- GRE Math
- TOEFL
- GRE
- Europe
- SOP
- Sweden
- Canada
- video
- Research
- Mechanical
- Texas
- Miscellaneous
- Passport
- Resume
- CV
- Letter of Recommendation
- GMAT
- Germany
- Japan
- University Ranking
- Fulbright
- SAT
- publications
- Professor
- Masters
- PhD
- Back Bencher
- Low CGPA
- Australia
- Listening
- Study Plan
- Scholarship Application Bangladesh
- Commonwealth Shared Scholarship
- Merit Scholarships
- How to apply for commonwealth scholarship
- Chevening scholarship bangladesh
- Scholarship for bangladeshi students
- Advice
- Ethics
- higher study prep gre test prep
- VISA
- Wi-Fi
- Business graduate
- Air ticket
- Switzerland
- MBBS
- Medical
- Learning english
- Statement of Purpose
- GRE Verbal