Ranking obsession নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেনঃ ড. রাগিব হাসান

Dr. Ragib Hasan

Associate Professor,

Dept. of Computer and Information Sciences,

University of Alabama at Birmingham

He also leads the SECuRE and Trustworthy Computing Lab (SECRETLab).

And the founder of Shikkhok.com

------------------------------------------------------------------------------------------------------

এই গ্রুপে এবং নানা জায়গায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা প্রবণতা লক্ষ্য করেছি, তা হলো রাংকিং নিয়ে অবসেশন। অনেকেই এমন প্রশ্ন করেন, অমুক ইউনির রাংক ৬৩, আরেকটার ৬৫, তার মানে প্রথমটা ভালো, ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং ভর্তির ক্ষেত্রেও একই রকমের মাপকাঠি কাজে লাগান। কেউ আবার বন্ধু ৮০ রাংকের ইউনিতে গেলো আর নিজে ৮৪ রাংকের ইউনিতে গেলেন বলে হতাশায় ভোগেন। এই অবসেশন কী ভয়াবহ অবস্থায় যেতে পারে, এক ছাত্রের করুণ কাহিনীতে তা দেখেছি, সেটা পরে বলা যাবে। কিন্তু আজকে এই রাংকিং নিয়ে কিছু বলতে চাই।

ফর অল প্রাকটিকাল পারপাজ, রাংকিং (মূলত US News ranking) কে সংখ্যা হিসাবে না দেখে রেঞ্জ হিসাবে দেখুন। কারণ টপ ৫ ইউনিভার্সিটির নিজেদের মধ্যে মানের বিশেষ পার্থক্য নাই। ৬-২০ও একই মানের, ২০-৪০, বা এরকম যেকোনো রেঞ্জ এর ইউনিভার্সিটিগুলা একই রকম। কাজেই অমুকের রাংক ১৩, তমুকের ১৪, এর মানে কিন্তু এই না যে ১৩ নম্বরটা ১৪ নম্বরের চেয়ে ১ স্টেপ ভালো!

অধিকাংশ চাকুরির ক্ষেত্রেই কোথা থেকে পাশ করে এসেছে তা বিশেষ দেখা হয়না (কিছু ব্যতিক্রম আছে, "আইভি লীগ" এর ইউনির দাম অনেক খানে বেশি, তবে প্রযুক্তির নানা চাকুরির ক্ষেত্রে অতটা নাই)। উদাহরণ দেই, মাইক্রোসফটের বর্তমান সিইও সত্য নাদেলার নাম অনেকেই শুনেছেন হয়তো। তার মাস্টার্স হলো ইউনিভার্সিটি অফ উইস্কনসিন মিলওয়াকি থেকে। অথচ এই লোক এখন দুনিয়ার সেরা একটা টেক কোম্পানির সর্বোচ্চ পদে আছে। একই ভাবে আরো অনেক উদাহরণ দেখানো যায়। হ্যা, রাংকিং ডাজ ম্যাটার, কেবল যদি একাডেমিক লাইনে যান, তাও অবশ্য রেঞ্জটা নিয়ে মানুষ চিন্তা করতে পারে, সংখ্যাটা না। ইন্ডাস্ট্রির চাকুরির ক্ষেত্রে কে কেমন কাজ পারে, সেটাই দেখে। আমার দুই ছাত্র আমার ইউনিভার্সিটি মাস্টার্স করার আগেই আমাজন ও VMWare এ চাকুরি পেয়েছে সিক্স ফিগার স্যালারিতে, পড়ার সময়ে ইন্টার্নশিপও পেয়েছিলো তারা দুজনেই (Cisco, Medsnap)। আমার ইউনিভার্সিটিরই আরেকজন বাংলাদেশী ছাত্র কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছে মাইক্রোসফটে। এই সব ছাত্রদের সাথে একই জায়গায় কাজ করছে স্টানফোর্ড, UIUC থেকে পাস করা ছাত্ররা - কাজের ক্ষেত্রে যে কাজ পারে, তারই কদর, সার্টিফিকেট কার কোথাকার তা কেউ মাথায় রাখেনা।

কাজেই ফান্ডিং পাওয়া সত্ত্বেও রাংকের মোহে সেই ফান্ডিং পায়ে ঠেলে আরেক জায়গায় পয়সা দিয়ে পড়ার বোকামিটা বাদ দিতে পারেন। অধিকাংশ চাকুরিতেই সেটার কোনো লং টার্ম ভ্যালু নাই। অবসেশন বাদ দিন, এপ্লাই করুন ভেবে চিন্তে।

মূল পোষ্টঃ Dr. Ragib Hasan

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

YouTube

Watch tutorials and videos on higher study on our channel!

Facebook

Ask your questions in our Facebook group!