Search any words, questions and so on here.

US VISA FEE (ইউএস ভিসা ফি) প্রদানের নিয়মাবলী

US VISA FEE (ইউএস ভিসা ফি) প্রদানের নিয়মাবলী

DS 160 ফর্ম ফিলআপ করার পরের ধাপ হল ভিসা ফি প্রদান। এর জন্য যা যা করতে হবেঃ

১) APPLY FOR A U.S. VISA (https://cgifederal.secure.force.com/?language=English&country=Bangladesh) নামক একটা ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

২) সেখানে গিয়ে একটা একাউন্ট খুলুন "NEW USER" অপশন থেকে। এর জন্য আপনার ইমেইল আইডি লাগবে, আর লাগবে ৮ ক্যারেক্টারের একটা পাসওয়ার্ড। একাউন্ট তৈরি হলে প্রয়োজন অনুযায়ী লগইন, লগআউট করা যাবে। যদি নিচের ছবির মত কোনো মেসেজ আসে, তবে ভয় ঘাবড়াবার কিছু নেই। পনেরো/বিশ মিনিট পর আবার চেষ্টা করুন লগইন করার।

৩) লগইন করার পর হোম স্ক্রিন দেখাবে, যার বামপাশের কলামে New Application/Schedule Appointment, Profile update, Logout ইত্যাদি অপশন আছে। এর মধ্যে ক্লিক করুন New Application/Schedule Appointment অপশনে। এখানে আরেক ধাপ তথ্য পূরণ করতে হবে। কী ধরনের ভিসায় যেতে চান (ইমিগ্র্যান্ট, নন-ইমিগ্র্যান্ট ইত্যাদি), নন-ইমিগ্র্যান্ট হলে কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করছেন (F1, F2 ইত্যাদি) জানতে চাইবে।

৪) আপনার পুরো নাম (পাসপোর্টে যেভাবে লেখা আছে ঠিক সেভাবে দিবেন), পাসপোর্ট নাম্বার, পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, দুটো ফোন নাম্বার, সেভিস নাম্বার, DS 160 কনফার্মেশন নাম্বার ইত্যাদি চাইবে।

৫) কেউ আপনার সফর সঙ্গী হবে কিনা, সেটা জানতে চাইবে। উত্তর হ্যাঁ বোধক হলে তার/তাদের সবার জন্যেও আপনার তথ্যের মত তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনি কয়জনকে নিয়ে ভ্রমণ করবেন তার উপর ভিত্তি করে সফটওয়্যার আপনাকে টাকার পরিমাণ দেখাবে। মাথা প্রতি ফি ১৬০ ইউএসডি।

উল্লেখ্য, আপনি যদি F1 হন এবং F2 (স্পাউজ, সন্তান) সহকারে ভ্রমণ করতে চান, তবে "কেউ আপনার সফর সঙ্গী হবে কিনা" অংশে গিয়ে আপনিই F2-এর তথ্য পূরণ করতে পারবেন। আলাদা করে F2-এর জন্য একাউন্ট তৈরি করতে হবে না। F1-এর একাউন্ট থেকেই F2 -এর ভিসা ফি প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে দুজনের ফি মিলে একটাই রিসিট তৈরি হবে।

৬) এরপর ভিসা পেলে পাসপোর্ট কোথা থেকে সংগ্রহ করতে চান, সেটা জানতে চাইবে। সিলেট, চট্টগ্রাম আর ঢাকার তিনটা অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে। নিজের পছন্দ অনুযায়ী অপশন সিলেক্ট করবেন।

৭) এরপর কীভাবে পেমেন্ট করবেন, সে অপশন দেখাবে। ইবিএল ব্যাংকে গিয়ে ক্যাশ পেমেন্ট করতে হবে। টাকার পরিমাণও লেখা থাকবে স্ক্রিনে। সেদিনের রেট কত চলছে ডলারের বিপরীতে টাকার, সে হিসেব অনুযায়ী মোট টাকার পরিমাণ লেখা থাকবে। আপনাকে ঠিক ঐ পরিমাণ টাকাই নিতে বলা হবে। ধরুন ফি হল ২৭,২০০ টাকা। আপনি যদি ২৭৫০০ টাকা নিয়ে ভাংতি আশা করেন, তাহলে কী হবে জানি না।

যে ডিপোজিট স্লিপটা স্ক্রিনে আসবে, সেটা প্রিন্ট আউট করবেন দুই কপি, পূরণও করবেন দুই কপি। একটা ব্যাংক রেখে দেবে, আরেকটা আপনি রাখবেন ডকুমেন্ট হিসেবে। প্রতিটা ডকুমেন্টের এক কপি আপনার কাছে রাখবেন। নতুবা খেই হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। প্রিন্টেড কপিতে যে তথ্য চাচ্ছে, সেগুলো পূরণ করবেন।

স্লিপে অনেক ইন্সট্রাকশন দেওয়া আছে। একটায় লেখা, এই ডিপোজিট স্লিপ আপনাকে তিন কপি প্রিন্ট করতে হবে। একটা কপি ব্যাংক সিল মেরে আপনাকে ফেরত দেবে, বাকি দুটো রেখে দেবে। সিল মারা কপি হল আপনার টাকা জমাদানের রশিদ। কিন্তু বাস্তবে তিন কপি লাগে না, এক কপি নিয়ে গেলেই হয়। আর ব্যাংক আপনার প্রিন্ট করা ডিপোজিট স্লিপে সিল মেরে ফেরত দেয় না, বরং তাদের নিজস্ব যে রসিদ আছে, সেটায় সিল মেরে ফেরত দেয়। ওটাই পরে লাগবে।

৮) যা হোক, অনলাইন ডিপোজিট স্লিপের উইন্ডো বন্ধ করলে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে একটা পেইজে, যেখানে যতজন একসাথে ভ্রমণ করবেন তাদের সবার receipt no. দিতে বলা হবে। এই রিসিট নাম্বার আপনি দেবেন না। ঘরগুল খালিই রেখে দেবেন। ব্যাংক যখন আপনার পেমেন্ট আপডেট করবে, তখন এই রিসিট নাম্বারগুলি অটোমেটিকেলি আপডেটেড হয়ে যাবে।

সুতরাং এই সময় পর্যন্ত আপনার কাজ এটুকুই। বামপাশে অবস্থিত লগআউট অপশনে ক্লিক করে বের হয়ে যান। এরপরঃ

১) টাকা, পাসপোর্টের বায়ো পেইজের পরিষ্কার ফটোকপি এবং ডিপোজিট স্লিপের পূরণকৃত কপি (একটা) নিয়ে ইবিএল ব্যাংকে যাবেন।

২) কাস্টমার কেয়ারে জিজ্ঞেস করবেন, "ইউএস ভিসা ফি জমা দিতে এসেছি। কোথায় যাব?" উনি আপনাকে একটা টোকেন নিতে বলবেন সিরিয়াল ধরার জন্য এবং একটা রিসিট দেবেন টাকা জমা দেওয়ার জন্য। রিসিটে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির জলছাপ আছে।

৩) রিসিট পূরণ করুন। অনলাইন থেকে যে ডিপোজিট স্লিপ পেয়েছেন, সেসব তথ্যই এখানে দিতে হবে। ডিপোজিট স্লিপ দেখে দেখে পূরণ করে ফেলুন।

৪) এরপর সিরিয়াল অনুযায়ী ডাক পড়লে ডিপোজিট/উইথড্রয়াল সেকশনে যাবেন। রিসিট চাইলে সেটা দিন, টাকা চাইলে টাকা দিন। এরপর চাইবে অনলাইন ডিপোজিট স্লিপ আর পাসপোর্টের বায়ো পেইজের ফটোকপি। এবার অপেক্ষার পালা। কাজ শেষ হলে উনারা আপনার ইবিএল ব্যাংকের রিসিটে (মূল রিসিটের কার্বন কপি) "টাকা গ্রহণ করা হইয়াছে" ছাপ্পা মেরে ফেরত দেবে। ভালোমতো চেক করে নিন।

৫) বলা হবে, ২৪ ঘণ্টা পর আপনার একাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার ইনফরমেশন আপডেট হয়ে যাবে। তখন আপনি ভিসা ইন্টার্ভিউ স্কেজিউল করতে পারবেন।

৬) এই রিসিট যক্ষের ধনের মত আগলে রাখুন। ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের দিন এটা অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে।

ধন্যবাদ!

 

লেখক পরিচিতিঃ 

নির্ঝর রুথ

Studies Medical Nutrition Therapy at Saint Louis University Started 

Writer at বিজ্ঞানযাত্রা,  মিথলজি and  ইতিহাস কথা বলে

===========================================================================================

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags