Search any words, questions and so on here.

একজন প্রফেসরের জবানবন্দী

একজন প্রফেসরের জবানবন্দী

লিখেছেনঃ ড. রাগিব হাসান

Dr. Ragib Hasan

Associate Professor,

Dept. of Computer and Information Sciences,

University of Alabama at Birmingham

He also leads the SECuRE and Trustworthy Computing Lab (SECRETLab).

And the founder of Shikkhok.com

এই গ্রুপ সহ উচ্চ শিক্ষার্থে নানা গ্রুপে খুব কমন একটা ব্যাপার দেখি, প্রফেসরদের প্রতিপক্ষ হিসাবে দেখা, কিংবা তাদের পটানো/ম্যানেজ করা এসব। এর পাশাপাশি গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের প্রফেসরদের নামে হাত মুখ খুলে গালাগাল করতে দেখি, প্রফেসর খাটাচ্ছে, সারাক্ষণ কাজ করায়, কাজ কতটুকু করেছে তা জানতে চায় দুইদিন পরপর, কিংবা অমুক অনুষ্ঠানের দিনেও কাজ করিয়েছে, বা ল্যাবে দেরিতে আসলে প্রশ্ন করে সেটা নিয়ে।

এই কথাগুলার মাঝে যেটা অনুপস্থিত, তা হলো অন্য দিকের কথা, মানে প্রফেসরদের কাজ, জীবন কেমন, এবং তারা কেনো কী রকমের কথা বলেন, সেটা।

একজন প্রফেসরের জীবন প্রচন্ড খাটুনির জীবন। রিসার্চ প্রপোজাল বের করতে হয় মাথা খাটিয়ে, তার পর সেই প্রপোজাল নিয়ে আরো শ শ প্রফেসরের সাথে রীতিমত কুস্তি করে ফান্ডিং এজেন্সি থেকে টাকা আদায় করতে হয়। কেমন উদাহরণ দেই - ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশনের একেকটা এলাকায় মাত্র হয়তো ৫-১০% প্রপোজালকে ফান্ড করে। যা টাকা আসে, তার অর্ধেকের মতো ইউনিভার্সিটি কেটে রাখে। বাকিটার অংশবিশেষ হিসাবে ছাত্রদের ফান্ড আসে। অল্প কয়দিন পরে পরে রিপোর্ট দিতে হয় কাজের অগ্রগতি কতটুকু। আর অনেক ক্ষেত্রে, যেমন আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের ফান্ড হলে প্রতিমাসে রিপোর্ট দিতে হয় কাজ কতটুকু হয়েছে, আর পাই পয়সা পর্যন্ত টাকার হিসাব দিতে হয়। আর প্রফেসরের অবস্থা চিনির বলদের মতো, কেউ ২ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড আনলেও তার বেতন ১ পয়সাও বেশি হয় না, লাভের লাভ পুরাটাই ইউনিভার্সিটির।

এখন এতো কষ্ট করে আনা ফান্ড কোনো ছাত্রকে কখন দিবেন একজন প্রফেসর? যখন তাকে ফান্ড দিয়ে প্রজেক্টের কাজটা আগাবে। সেজন্য না দেখা, না জানা কাউকে ফান্ড দেয়াটা একটা বড় রিস্ক। কাজ না আগালে জবাবদিহিটা প্রফেসরকেই করতে হবে। ফান্ডিং দেয়াটা আসলে প্রফেসর বা ছাত্র কারো জন্যই দাতব্য কাজ না, বরং প্রফেশনালভাবে দেখা দরকার -- প্রফেসরের কাজ করানোর জন্যই ফান্ডিংটা দেয়া। এখন ছাত্র যদি কাজ না করে, কাজ না পারে, তাহলে খুবই স্বাভাবিক যে প্রফেসর কাজ করতে চাপ দিবেন। আর প্রফেসর যখন সকাল ৯টার মধ্যে ল্যাবে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকেন, আর বাসায় গিয়েও ঘুমানোর আগে পর্যন্ত নানা দায়িত্ব করতে থাকেন, সেখানে ছাত্র যদি হেলে দুলে দুপুরের দিকে আসে, তা কি খুব ভালো কথা?

এখানেই সমস্যাটা, অনেকের মাঝেই ধারণাটা ঢুকে যায়, প্রফেসর হলো গৌরি সেন, লাগে ফান্ড দিবে প্রফেসর। কিন্তু একেকটা গ্রান্ট এর টাকা যে কী পরিমাণ কষ্ট করে আনা, তা তারা খেয়াল করে না।

একজন প্রফেসর দিনে প্রায় ১০০ থেকে ২০০টা ইমেইল পান। ভর্তির মৌসুমে তার অধিকাংশই হয় টাকা চাহিয়া পত্র টাইপের মেইল। প্রফেসরদের ব্যস্ত জীবনে এরকম ইমেইল না পড়াই স্বাভাবিক তাই না? আর ভুলভাল ইংরেজিতে এবং অদ্ভুত সম্বোধনে সরাসরি "দুবাই যামু ট্যাকা দেন" মার্কা ইমেইলের জবাব প্রফেসর না দিলে সে খারাপ, জবাবটাও দিলোনা বলে অভিযোগ করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

অচেনা অজানা একজন ছাত্রকে কেবল তার পাঠানো ইমেইলের ভিত্তিতে বিশ্বাস করে ফান্ড দেয়াটা একটা রিস্ক। অনেক ছাত্রই এক সাথে তিন চার জায়গায় এক্সেপ্ট করে বসে থাকে, ক্লাস শুরুর ২ দিন আগে জানায় আসছেনা। তখন এতো কষ্টের রিসার্চ প্রজেক্ট ৬ মাসের জন্য পিছিয়ে যায়। সেজন্য প্রফেসরেরা সাধারণত বাজিয়ে না দেখে কাউকে ফান্ড দিতে চান না, আর দিলেও খুব সাবধানী থাকেন।

তাই প্রফেসরদের ম্যানেজ করা, পটানো, এসব নিয়ে বলার সময়ে, তাদের চিন্তাভাবনাটা একটু বোঝার চেষ্টা করেন, তাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে না দেখে মানুষ হিসাবেই দেখেন, আর প্রফেসরে খাটায় কেনো, চাপ দেয় কেনো সেটাও ভেবে দেখুন। আর ফান্ডিং পাওয়াটা দয়া দক্ষিণা বা পটানোর ফল না, বরং এটাকে প্রফেশনাল কাজ হিসাবে দেখুন।

#গবেষণা #রিসার্চ

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে লেখকের আরো একটি চমৎকার লিখাঃ আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ! ফান্ডিং না পেলে কীভাবে পড়বেন?

===========================================================================================

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags