Search any words, questions and so on here.

স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) লেখার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) লেখার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

SOP হল গ্রাজুয়েট স্কুলে এপ্লাই করার অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র। আপনি যতটা ভাবতে পারেন এটা তার চেয়ে বড় অস্ত্র তার কয়েকটা কারণ আছে। যেমন- জিআরই, আইইএলটিএস বা সিজিপিএ এগুলোর প্রকৃতি হল অবজেক্টিভ অর্থাৎ এগুলো একটা নাম্বার এখানে ইভ্যালুয়েটরদের বায়াস হওয়ার সুযোগ থাকেনা। কিন্তু SOP বা লেটার অব রিকমেন্ডেশন(LOR) এগুলো হল সাবজেক্টিভ টাইপ অর্থাৎ, এখানে ইভ্যালুয়েটর দের বায়াস হওয়ার সুযোগ থাকে কিন্তু এবং SOP হল আপনার অস্ত্র যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার লেখানীর দ্বারা Review কমিটি কে খুব ভালোভাবেই বস করতে পারবেন। তাছাড়া জিআরই/ আইইএলটিএস বা সিজিপিএ খারাপ থাকলে ভকি জুকি যুক্তি দিয়ে সেটাকে জাস্টিফাই করার টুলও হল SOP. আমার নিজের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি জিআরই বা একাডেমিক রেজাল্ট এর দিক দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের ক্যান্ডিডেট রা অনেক এগিয়ে থাকলেও SOP বা LOR এর ক্ষেত্রে আমরা যোজন যোজন পিছিয়ে থাকি। এর পিছনে প্রধানত দুইটা কারণ- একটা মাইনর আরেকটা হল মেজর। মাইনর কারণটা হল ইংরেজি আমাদের মাতৃভাষা না আর মেজর কারণ হল আমরা SOP লেখার সময় পর্যাপ্ত সময় দেয়না। একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন কতটুকু সময় দেওয়া উচিত। আমার ল্যাবে আমার আমেরিকান যে ফ্রেন্ড আছে ওর বাপ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস এর বায়োলজির প্রফেসর আর মা-ও পিএইচডি হোল্ডার। একদিন SOP লেখার গল্প উঠছে এবং ও আমাকে বলল সে তার ফাইনাল SOP সাবমিট করার আগে ওর বাপ-মা, টিচার বা অন্যান্য ফ্রেন্ডরা সহ মোট ৩০ বার রিভিউ আর কারেকশন করছে! আর আমরা কি করি? আমি নিজেও ৪-৫ বারের বেশি রিভিউ করিনি।

আমি আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের ছাত্র/ছাত্রীদের যত SOP রিভিউ করেছি তার খুব কমই পেয়েছি ভালো মানের। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এসব ক্রাপি টাইপ SOP নিয়েও অনেকে স্কলারশিপ পায় কিন্তু তার মানে এই নয় যে সে ভালো রাইটার। হয়ত জিআরই বা সিজিপিএর জোরে পায়। SOP রিভিউয়ের অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি নিচের পয়েন্ট গুলো খুব ইম্পরট্যান্ট-

স্ট্রাকচারঃ একটা SOP এর এনাটমি দেখলে খুব আহামরি কঠিন মনে হবেনা এবং এখানে সবাই মোটামুটি ভালোই মেইন্টেইন করে। প্রথমেই ইন্ট্রোডাকশন তারপর একাডেমিক অ্যাসিভমেন্ট, রিসার্চের এক্সেরিয়েন্স থাকলে সেটা লেখা বা না থাকলে জাস্টিফাই করা, তারপর ঐ পার্টিকুলার ইউনিভার্সিটিতে এবং প্রোগ্রামে কেন ইন্টারেস্টেড সেটা উল্লেখ করা তারপরও আপনি কেন ভালো ক্যান্ডিডেট তথা নিজের গুণকীর্তন করা।

ইন্ট্রোডাকশনঃ যেকোনো রাইটার এর জন্য সবচেয়ে কঠিন পার্টটা হল ইন্ট্রোডাকশন লেখা। এটা দেখেই মানুষ বুঝবে পুরো লেখাটা কোনদিকে যাচ্ছে বা আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। এটা পড়েই মানুষ ডিসাইড করে সে আপনার বাকি লেখাটা কতটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়বে। ইন্ট্রোডাকশন পড়ার পরে যদি শরীরে একটা ম্যাজমেজে ভাব চলে আসে তাহলে বাকি লেখা যত ভালোই হোক না কেন সেই লেখা যে কোনো রিডারের জন্যই পড়া খুব কষ্টের। দুঃখের বিষয় হল আমি আজ পর্যন্ত যত SOP রিভিউ করেছি মাত্র একটা ছাড়া কারোর ইন্ট্রোডাকশন এ আমার পছন্দ হয়নি। অনেকের ক্ষেত্রে পুরো ইন্ট্রোডাকশনটায় আমার নিজে লিখে দিতে হয়েছে (যদিয় আর একাজ করবনা এজন্যই আজকের এই লেখাটা লিখছি)। অধিকাংশের ক্ষেত্রে যেটা দেখেছি ইন্ট্রোডাকশনের সাথে বাকি বডির কোনো মিল নেই, অনেকে শুরু করে একটা মনিষীয় বাণী দিয়ে যেটা এযুগের সায়েন্টিফিক বা প্রফেশনাল রাইটিং স্টাইলের ক্ষেত্রে খুবই বেমানান (দ্বিমত থাকতে পারে অনেকের)। আমি যেভাবে সাজেস্ট করব- প্রথমত আপনার ইন্ট্রোডাকশন অবশ্যই পরবর্তী লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে অর্থাৎ এটা পড়েই মানুষ যেন বুঝতে পারে আপনি বাকি লেখায় কি বলতে বা লিখতে যাচ্ছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রথম সেন্টেন্স টা যেটাকে বলা হয় হুক সেন্টেন্স যার রোল হল রাইটারকে পরবর্তী লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য হুকের মত আটকিয়ে রাখবে। এই সেন্টেন্স এর কয়েকটা কম্পোনেন্ট থাকে যেমন- পুরো লেখার সিগ্নিফিকেন্স বা তাৎপর্য, আপনি যে ফিল্ডে এপ্লাই করতে যাচ্ছেন সেই ফিল্ডের গুরুত্ব সম্পর্কে কতটুকু ধারনা রাখেন এবং আপনার মোটিভেশন। যেমন- আপনি যদি কার্ডিওভাস্কুলার বা হার্ট ডিজিজ রিলেটেট কোনো ফিল্ডে এপ্লাই করেন তাহলে তার একটা এক্সামপল সেন্টেন্স হতে পারে- Cardiovascular diseases (CVDs) is the leading cause of death in the whole world and currently X million people are suffering from CVDs with the total global economic cost of Y trillion dollars পরের সেন্টেন্সে লিখতে পারেন During my collage years, I was intrigued by the enormity of CVDs and most importantly, the limited options to combat this devastating epidemic. Or, I have closely observed how families are suffering and doctors are perplexed to help those patients with the limited therapeutic options in their hand. যেটা বলবে এই ফিল্ডের আসার জন্য আপনার মোটিভেশন বা অনুপ্রেরণা কি, এর পর এই ফিল্ডের কারেন্ট অবস্থা কি এবং কোথায় কোথায় ইম্প্রুভ করা যায়। আপনি যদি এই ফিল্ডে পড়েন তাহলে ইম্প্রুভ করতে আপনার সম্ভাব্য ভুমিকা কি হতে পারে। এভাবেই আমি সাজাবো। এক্ষেত্রে ভিন্ন মত থাকতে পারে কারণ একটায় যে উপায় বা স্ট্রাকচার এরকম কোনো ধরাবাধা নিয়ম নাই।

একাডেমিক অ্যাসিভমেন্টঃ এখানে সবচেয়ে বড় ভুল যেটা সবাই করে সেটা হল লম্বা একটা লিস্ট করতে থাকে যে সে আন্ডারগ্রাডে কি কি সাবজেক্ট পড়েছে এবং কি টাইপ রিসার্চ করেছে বা কি কি টেকনিক সে জানে। এগুলোর সবকিছুই আপনি আপনার সিভি বা রেজুমিতে মেনশন করেছেন তাহলে এখানে আবার কেন? আমি বলছি না আপনি এগুলো এখানে দিবেন না কিন্তু আপনাকে ভালোভাবে কানেক্ট করে দেখাতে হবে আপনি যে প্রোগ্রামে এপ্লাই করছেন তার প্রিপারেশন হিসেবে আপনি কি কি শিখেছেন এবং সেটা কিভাবে আপনার প্রস্পেক্টিভ ফিল্ডে এপ্লাই করেছেন বা ঐ ফিল্ডে সাকসেসফুল হওয়ার পিছনে আপনার এতদিনে অর্জিত জ্ঞ্যান আপনাকে কিভাবে হেল্প করতে পারে। পুরো লেখনীর লজিক্যাল অর্ডারটা খুব এ গুরুত্বপূর্ণ।

এর পর আপনাকে লিখতে হবে কেন আপনি ঐ ইউনিভার্সিটি বা প্রোগ্রাম বাছাই করলেনঃ এক্ষেত্রে রিভিউ কমিটিকে ইমপ্রেস করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা সময় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। কেন ঐ ইউনিভার্সিটি বা প্রোগ্রাম অন্যান্যদের থেকে আলাদা বা উক্ত প্রোগ্রামের বিশেষত্ব কি। সেখানে ভর্তি হতে পারলে সেটা আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে কিভাবে সাহায্য করবে। তাদের রিসার্চের কোন কোন আস্পেক্ট গুলো আপনার ভালো লেগেছে ইত্যাদি। আর মনে রাখবেন এটার সাথে ইন্ট্রোডাকশনে আপনি যেটা লিখেছেন সেটার কানেকশন থাকাটা সুপার ইম্পরট্যান্ট। আপনি হয়ত আপনার ভবিষ্যৎ প্লান নিয়ে এমন কিছু লিখলেন বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে এমন কিছু প্রোপোজ করলেন যে সেই টাইপের রিসার্চই উক্ত প্রতিষ্ঠানে হয়না সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ফাইনাল প্যারাগ্রাফঃ এখানে সবাই মোটামুটি ভালো লেখে এটা জাস্ট নিজের গুণকীর্তন করা।

থট প্রসেসঃ SOP তাড়াহুড়া না করে লিখে ধীরে ধীরে টাইম নিয়ে লেখা উচিত। যখন থেকে প্লান করছেন বাইরে পড়তে যাবেন তখন থেকে ভাবতে থাকবেন আপনি কেন পড়তে যাবেন। আপনি যদি আপনার যেকোনো কর্মের পারপাস টা জানেন তাহলে লেখার ভিতর সেটা ফুটে উঠবে। যখন ভালো কিছু মাথায় আসবে তখন এ লিখে রাখবেন। এর পর গুরুত্বপূর্ন হল ভালো স্যাম্পল দেখা। অনেকে যেটা করে আগে কয়েকটা বা একটা স্যাম্পল দেখে নিজেরটা লেখে যার ফলে যেটা হয় আপনার নিজের চিন্তা বিসর্জন দিয়ে অন্যে কিভাবে চিন্তা করে আপনি তার দ্বারা অনেকখানি প্রভাবিত হয়ে পড়তে পারেন আর অনেকে কপি পেস্ট ও করে। আমি সাজেস্ট করব আপনি নিজে যেটা বলতে চান তার একটা ড্রাফট আগে দাড় করান। নিজের টা লেখা শেষে অন্যের টা দেখে তখন কাটছাট করতে পারেন। আমরা হয়ত অনেকে কি বলতে চায় সেটা জানি কিন্তু লেখার সময় সুন্দর করে চিন্তাগুলো উপস্থাপন করতে পারিনা। সেক্ষেত্রে ভালো কিছু স্যাম্পল দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে চিন্তাগুলো লেখনীর ভিতর অর্গানাইজ করতে হয়। লেখা একটা আর্ট এবং তার জন্য আপনাকে সময় ব্যায় করতে হবে এটা আপনা-আপনি ভালো হবেনা। আরেকদিন LOR নিয়ে লিখব।

লেখকের গুরুত্বপুর্ন আরো একটি লিখাঃ বাংলাদেশে ইংরেজি শেখার পদ্ধতিগত ভুল এবং উত্তরণের কৌশল

লিখেছেনঃ

মোঃ তরিকুল ইসলাম 

Graduate Research Assistant, The University of Utah

Former Graduate Research Assistant, University of Nebraska-Lincoln

Studied Masters in Biochemical and Molecular Nutrition, University of Nebraska-Lincoln

Studies Ph.D. in Nutrition and Integrative Physiology, The University of Utah

Studied Bachelor of Science, Institute of Nutrition & Food Science, University of Dhaka

===========================================================================================

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags