Search any words, questions and so on here.

জি আর ই সম্পর্কে জানা অজানার কিছু মজার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

জি আর ই সম্পর্কে জানা অজানার কিছু মজার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার স্বপ্নপূরণ করতে হলে পাড়ি দিতে হয় অনেক পথ। GRE, TOEFL/IELTS, SOP, LOR, University Selection, Application Process, Emailing to Professors, Skype Interview, Visa Processing, Plane Ticket, Shipment Preparation সবকিছু করতে করতে শেষ মেশ এতোটাই টায়ার্ড লাগে যে বার বার মনে হয় GRE টাই সবচেয়ে সহজ ছিল। আসলেও তাই! হয়ত অনেকের শুনতে অবাক লাগতে পারে কিন্তু আমি সত্যিই বলছি! GRE ই সবচেয়ে সহজ! আরো একটা বিষয় আপনার আমেরিকা যাওয়া না যাওয়া কিন্তু এই সহজ বিষয় টার উপরই নির্ভর করে। অন্য বিষয় গুলো যেমনই হোক সেগুলো আপনার আমেরিকা যাওয়া না যাওয়ার নির্ধারক কিন্তু না। শুনেছেন জিআরই তে ভালো একটা স্কোর করে কাওকে দেশে বসে থাকতে?? আমি শুনিনি।
এই সহজ ধাপটাই তাহলে অনেকে কেন উৎরাতে পারে না? উত্তরটা কঠিন না মোটেও! উৎরাতে না পারার প্রথম কারণ তথ্যের অভাব, মানুষ আসলে জানেই না জিআরই এক্সাম কি, এটা আসলে মানুষের কোন গুণকে যাচাই করে, এর স্ট্রাকচার কি। দ্বিতীয়ত, সঠিক পথে হাটা, সঠিক সময়ে শুরু করা, ভুল ম্যাটারিয়াল না পড়ে আপনার হাতে কতটুকু সময় আছে তার উপর নির্ভর করে সঠিক ম্যাটারিয়াল গুলো পড়া ও সঠিক কৌশল মাফিক আগানো। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এসবগুলো বিষয় আপনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব।

এক্সাম প্রেসার সামলাবেন কিভাবে?

বড় কোন এক্সামের আগে প্রেসার থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক, আরো যদি সেটা হয় জিআরই তাহলে তো কথায় নেই, যে পরীক্ষার উপর কিনা নির্ভর করবে আপনার স্বপ্নের আমেরিকা যাওয়া!!! আর একারনেই দেখা যায় অনেককে পরীক্ষা খারাপ করতে, পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে পড়তে, ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ভেবে দেখেনতো আপনি যদি পরিক্ষার হলে যাওয়ার আগে আপনার এখনকার দিনের বাংলাদেশের পাবলিক পরিক্ষাগুলোর মত প্রশ্নটা হাতে পেয়ে যান তাহলে কেমন লাগবে? অনেকে হয়ত ভাবছেন তাহলে কি জিআরই পরিক্ষার প্রশ্ন আগে থেকে পাওয়া যায়!!! না প্রশ্ন পাওয়া যায় না কারণ প্রশ্ন পেয়েও অনেকে বলতে পারবেন না আপনি ঠিক কত মার্ক পাবেন। তাই ইটিএস মানে জিআরই পরিক্ষা যারা নেয় তারা ব্যাবস্থা করেছে প্রশ্নের বদলে আপনার মার্কটাই আগে থেকে বলে দেওয়ার! এটা কি সম্ভব?! হ্যাঁ সম্ভব। কিভাবে? ইটিএস আপনার জন্য ২ টি ফ্রি মডেল টেস্ট পরিক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে যার প্রশ্ন হুবহু মুল পরিক্ষার প্রশ্নের মতই আসে। মুল পরিক্ষা ঠিক যেভাবে হয় সেভাবেই আপনি রুমে বসে আপনার কম্পিউটারে পরিক্ষা দুটো দিতে পারবেন। আর এখানে যা মার্ক পাবেন বিশেষ করে দ্বিতীয়টাতে ফাইনালি আপনার মার্কের ভেরিয়েশন ±২ এর বেশি হবে না। ৩৪০ এ ±২ মানে শতকারা এটি ১% এরও কম। তাহলে এক্সাম হলে যাওয়ার আগেই আপনি জেনে গেলেন আপনি কেমন মার্ক পেতে যাচ্ছেন! আশা করি পরিক্ষার আগে আপনাকে তাহলে আর ফাঁসির রায় কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা আসামির মত লাগবেনা।

ইটিএস এই স্ট্যান্ডার্ড কিভাবে মেইনটেইন করে?/এক্সিপেরিমেন্টাল বা আনস্কোরড সেকশন কেন নেয়? /বিশেষ কোনো সময়ে কি এক্সাম কঠিন হয়?

আপনারা অনেকেই অন্তত এটুকু জানেন যে জিআরই পরিক্ষার মোট তিনটি পার্ট যথা-AWA, Verbal Reasoning and Quant Reasoning. Verbal and Quant Reasoning –এ ২টি ২টি করে মোট ৪টি সেকশনে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি সেকশনে ২০ টা করে প্রশ্ন থাকবে, ভার্বালের জন্য পাবেন ৩০ মিনিট আর কোয়ান্টের জন্য পাবেন ৩৫ মিনিট। এছাড়া আপনাকে একটা অতিরিক্ত ভার্বাল বা কোয়ান্ট সেকশনের উত্তর দিতে হবে যার জন্য আপনাকে কোন মার্কস দেওয়া হবে না। এই সেকশনটির নামই এক্সপেরিমেন্টাল বা আনস্কোরড সেকশন। এই সেকশনটি নিয়ে অনেক মিথ চালু আছে, কেউ বলে এটি প্রথমে আসে কেউ বলে শেষে। এটা কেন দেয় এটা নিয়েও অনেক মিথ আছে। কিন্তু এই সেকশন কখন আসবে এটা ইটিএস ছাড়া আসলে কেউ জানে না যদি জানত তাহলে এই সেকশন দেওয়ার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হত। তাই আপনি যখন পরিক্ষা দিবেন আপনার জন্য প্রতিটা সেকশনই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখন আসি কেন ইটিএস আপনার উপর এই বোঝা চাপিয়ে দেয়! ইটিএস আসলে পরিক্ষা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন প্রশ্ন বানায় না। একটা সিজন বা নির্দিস্ট সময়ের জন্য তাদের নির্দিষ্ট কিছু সেট প্রশ্ন বানানো থাকে। হতে পারে সেটা ২০, ৪০ বা ১০০ বা আরো বেশি যাহোক। তারা যখন নতুন করে কোনো প্রশ্ন বা সেট বানায় তখন সেটা পুরাতন গুলোর সাথে মিলিয়ে দ্যাখে যে ওটার স্ট্যান্ডার্ড আগের গুলোর সাথে ঠিক আছে কিনা। এজন্য নতুন প্রশ্নগুলো এক্সপেরিমেন্টাল সেকশনের মাধ্যমে তারা চেক করে এগুলো সলভ করতে এভারেজ কত সময় লাগে, কত পার্সেন্ট মানুষ কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়, এক্সপেরিমেন্টাল সেকশন গুলোতে প্রাপ্ত মার্ক অন্য সেকশনের মার্কের তুলনায় ভেরিয়েশন আছে কিনা বা থাকলেও কতটুকু ইত্যাদি। এভাবে অনেক পরিক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে তারা নতুন কোনো সেকশনকে ফাইনালি পরিক্ষা নেওয়ার জন্য ঠিক করে। আর একারনেই ইটিএসে পাওয়ার প্রিপ টেস্টে প্রাপ্ত মার্কের সাথে ফাইনালে পাওয়া মার্কের ভেরিয়েশন এতো কম। এখন তাহলে আপনিই বলেন বিশেষ সময়ে বা বিশেষ মাসে প্রশ্ন ডিফিকাল্ট হয় বলে যে অনেকে মন্তব্য করেন এটা কতটুকু ঠিক???

আচ্ছা বলেনতো ২টা সেকশনের সুবিধা কি?

এমনও তো হতে পারত ভার্বাল বা কোয়ান্টে সেকশন হবে একটা। সেই সেকশনে প্রশ্ন থাকবে ৪০ টা আর সময় থাকবে ৬০ বা ৭০ মিনিট। ২টা সেকশনের সুবিধা হল প্রথম সেকশনে যদি আপনি খুব খারাপ করেন তাহলে পরবর্তী সেকশনের প্রশ্ন হবে আপনার জন্য তুলনামূলক অনেক সহজ। আর প্রথম সেকশন যদি আপনি ভাল করেন তাহলে পরের সেকশন আপনার জন্য তুলনামূলক কঠিন আসবে। আর আপাত দৃষ্টিতে প্রতিটা প্রশ্নের মার্ক ১ মনে হলেও আপনি যদি কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিক দেন তাহলে মার্ক পাবেন একের বেশি তাই অনেক সময় এমনও হতে পারে যে, আপনি ৩০ টা প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়ে মার্ক পেয়েছেন ৩১। আর সহজ প্রশের বেলায় উল্টা ঘটনা। আর প্রতিটা সেকশনে ২০টা প্রশ্ন দেখা গেলেও প্রকৃত প্রশ্ন সংখ্যা থাকে আরো বেশি, যাদের ডিফিকাল্টি লেভেল থাকে বিভিন্ন রকমের। আপনার প্রথম সেকশের পার্ফরমেন্সের উপর সফটওয়্যার অটোম্যাটিকালি আপনার সেকেন্ড সেকশনের ডিফিকাল্টি লেভেল ঠিক করে নেবে। আর একারনেই জিআরই তে প্রতিটা মার্কই আলাদা তাৎপর্য বহন করে। তাই জিআরই তে যে ব্যক্তি ৩১০ পায় আর যে ৩১২ পায় তাদের মার্কের ডিফারেন্স মাত্র ২ মনে হতে পারে কিন্তু এই ২ মার্ক বেশি পেতে হলে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। আর ইটিএস এটার মূল্যও দেয় তাই তারা স্কোরের পাশাপাশি আপনাকে আরো একটা জিনিস দেয় সেটা হল পার্সেন্টাইল। ধরেন, আপনি কোয়ান্টে পেয়েছেন ১৬৭ আর আপনার পার্সেন্টাইল হল ৯৪ তাহলে বুঝতে হবে সারা বিশ্বে এযাবৎ যারা জিআরই দিয়েছে তার ভিতর ৯৪% মানুষের স্কোর আপনার চেয়ে কম। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আপনার স্কোর যত বেশি হবে আপনার পার্সেন্টাইলও তত বেশি হবে।

কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে ইনবক্স না করে কমেন্টে লিখবেন কারণ ইনবক্সের সব উত্তর যথাসময়ে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। আর কেউ চাইলে অতিরিক্ত কিছু যোগ করতে পারেন। আমি পরবর্তী আর্টিকেল গুলোতে আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।

লেখকের গুরুত্বপুর্ন আরো একটি লিখাঃ বাংলাদেশে ইংরেজি শেখার পদ্ধতিগত ভুল এবং উত্তরণের কৌশল

লিখেছেনঃ

Md Torikul Islam

মোঃ তরিকুল ইসলাম 

Graduate Research Assistant, The University of Utah

Former Graduate Research Assistant, University of Nebraska-Lincoln

Studied Masters in Biochemical and Molecular Nutrition, University of Nebraska-Lincoln

Studies Ph.D. in Nutrition and Integrative Physiology, The University of Utah

Studied Bachelor of Science, Institute of Nutrition & Food Science, University of Dhaka

===========================================================================================

যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড

জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট

You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.

Related Posts


Recent Posts


Categories


Tags