আমেরিকায় চাকরি Apply for OPT পর্ব-২.১
USA-তে চাকরি করার প্রথম ধাপ তো হল, OPT-তে এপ্লাই করা শেষ। এবার চাকরি খোঁজার পালা। আজকের পর্বে এটা নিয়েই আলোকপাত করতে চাই।
শুরুতেই বলে নেই, প্রথম ধাপের চেয়ে এই দ্বিতীয় ধাপটা অতিক্রম করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এর প্রধান কারণ এটা না যে আমেরিকায় চাকরির বাজার খারাপ - এটার আসল কারণ ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের চাকরি দিতে বেশিরভাগ কোম্পানির অনীহা। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছি যে অনেক সময় তুলনামূলকভাবে বেশি যোগ্যতা থাকার পরেও একজন বিদেশি লোককে নেওয়ার চেয়ে ওরা ওদের দেশি লোককে Priority দেয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটা Unfair, কিন্তু যদি কোম্পানির দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যপারটা চিন্তা করা যায় তাহলে এর কারণটা সহজেই বোঝা যায়। মূলত বিদেশি কাউকে নিতে হলে একটা কোম্পানির কিছু অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হয় (Paperwork, Sponsorship etc.) যা বড় কোম্পানিগুলো ছাড়া অন্যরা নিতে চায় না। এছাড়া কিছু চাকরি থাকে যার জন্য সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স লাগে, যার জন্য আমেরিকান নাগরিক হওয়া বাধ্যতামূলক। তাই চাকরি এপ্লাই করার সময় ওই কোম্পানি সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেওয়া ভালো।
চাকরি কিভাবে খুঁজবেন?
চাকরি খোঁজা যায় মূলত তিনভাবেঃ
১.নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে
২.সরাসরি অনলাইনে এপ্লিকেশন করার মাধ্যমে
৩. Consultancy Firm/Staffing Agency এর মাধ্যমে
প্রথমে আসি নেটওয়ার্কিং এ। বাংলাদেশে যেমন এখনও কিছু কিছু জায়গায় পরিচিত মানুষের মাধ্যমে খুব বেশি Evaluation ছাড়াই চাকরিতে ঢোকা যায়, আমেরিকায় সেটা যায় না। এখানে কেউ রেফারেন্স দিয়ে বড়জোর চাকরির ইন্টারভিউ যোগাড় করে দিতে পারে, সাধারণত এর পরে বাকিটা নিজের যোগ্যতায় অর্জন করতে হয়। কিন্তু তাই বলে এর গুরুত্ব ফেলে দেওয়ার মত না। কারণ বড় বড় কোম্পানিতে ১ টা পোস্টের জন্য কয়েকশ পর্যন্ত প্রার্থী থাকতে পারে এবং তাদের বেশিরভাগ কখনও Hiring Manager এর সাথে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পায় না - অনেকেই Automated Application Selection এ বাদ পড়ে যায় (কারণ তাদের Resume/CV তে সঠিক Keyword থাকে না) আর বাদবাকিদের ভাগ্য নির্ধারিত হয় Recruiter-দের সাথে প্রাথমিক ইন্টারভিউয়ের পরে। সুতরাং এই প্রাথমিক ধাপটা পার হওয়ার জন্য রেফারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা পাওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে নেটওয়ার্কিং।
রেফারেন্স দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি হচ্ছে যে আপনাকে ভালোভাবে চেনে, জানে। সেটা হতে পারে আপনার প্রফেসর, আপনার রিসার্চ কলিগ, আপনার ইউনিভার্সিটির এলাম্নাই (দেশের এবং বিদেশের)। কিন্তু এর বাইরেও নেটওয়ার্কিং করার উপায় আছে। যেমন আপনি যদি রিসার্চ-রিলেটেড চাকরি খোঁজেন আপনার জন্য একটা ভালো প্লাটফর্ম হতে পারে Researchgate. তবে নেটওয়ার্কিং এর জন্য সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর স্থান হল LinkedIn. ধরা যাক আপনি একটা কোম্পানিতে এপ্লাই করবেন। প্রথমেই খুঁজে বের করুন ওই কোম্পানিতে আপনার ইউনিভার্সিটির কোন এলাম্নাই আছে কিনা LinkedIn এর মাধ্যমে। সেটা যদি নাও পান ওই কোম্পানির কিছু মানুষের সাথে আপনি যোগাযোগ করুন, তাদের আপনার Resume দেখান, একটা ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করতে পারলে সেই মানুষটাই হয়ত আপনাকে কোন একটা পোস্টের জন্য রেফার করতে রাজি হতে পারে। কোন রেফারেন্স না পেলেও অসুবিধা নেই, অন্তত আপনি Company Culture, Hiring Strategy সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে পারেন যা আপনার পরে কাজে লাগবে।
এবার আসি সরাসরি এপ্লিকেশনের বিষয়ে। নেটওয়ার্কিং একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং অনেকের ক্ষেত্রেই সেটা করা সম্ভব না। সেই ক্ষেত্রে সরাসরি চাকরির জন্য এপ্লাই করার বিকল্প নেই। সেটা হতে পারে কোম্পানির Website এর মাধ্যমে, LinkedIn এর মাধ্যমে অথবা কোন app এর মাধ্যমে। কিন্তু আগেই সতর্ক করে দেই, সরাসরি এপ্লাই করে সাফল্যের হার খুব কম। হয়ত আপনি ১০০ টা পজিশনে এপ্লাই করে ১০-১৫ টা থেকে রিপ্লাই পাবেন। তবে এখানেও কিছু কৌশল আছে যা আপনার response rate বাড়াতে পারে। যেমনঃ গোছানো LinkedIn profile, নিজস্ব ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভালো Resume আর Cover Letter।
ভালো Resume এবং Cover Letter-এর বৈশিষ্ট্যঃ
১. Should be One page
২. Specifically Targeted for that Job (Most important!)
৩. Should Include Summary, List of Core Competencies and Keywords
Remember, Resume and Cover Letter are not the same. They should relate to one another, but their goal is different. While resume gives an overview of your qualifications, your cover letter gives details.
ফাইনালি আপনি চাকরি পেতে পারেন কোন কনসালটেন্সি ফার্ম অথবা স্টাফিং এজেন্সির মাধ্যমে। আমার ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যাপারে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব ফার্ম চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নেয়। বিশেষ করে বিভিন্ন ইন্ডিয়ান ফার্ম আছে যারা চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে আপনার মাসিক বেতনের ৩০-৪০% পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে। এরা চাকরি দেয়ার জন্য ভুয়া কাগজপত্র থেকে শুরু করে আরও নানা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে, তাই পারতপক্ষে এদের কাছে না যাওয়াই ভালো। এদের খোঁজ পাবেন এখানেঃ http://desiopt.com/
চাকরি কোথায় খুঁজবেন?
যেকোনো বিষয়ের চাকরির খোঁজ পাবেন এখানেঃ
১. Indeed
২. Monster
৩. LinkedIn
৪. Glassdoor (Salary সম্পর্কিত তথ্য জানার সেরা সাইট)
৫. Career Builder
শুধুমাত্র Engineering/Technology রিলেটেড চাকরির খোঁজ পাবেন এখানেঃ
১. EngineerJobs
২. Dice
৩. iHireEngineering
আমেরিকার সরকারি চাকরি খুঁজতেঃ
১. USAJobs
চাকরি এবং ইন্টারভিউ সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস, ট্রিক্স এবং স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জানতে পারেন এখানেঃ
১. The Muse
২. Mentat
তবে সবকিছু মিলিয়ে আমার দেখা সবচেয়ে ভালো সাইট হচ্ছে LinkedIn. চাকরি পাওয়ার জন্য এটা যে কতভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা নিয়ে লিখতে গেলে আলাদা একটা পোস্ট হয়ে যাবে। তাই এখানে আর সেই প্রসঙ্গে গেলাম না, Google করলেই জানতে পারবেন।
সবশেষে আমার নিজের কিছু টিপসঃ
১. গোছানো এবং তথ্যবহুল LinkedIn profile থাকা অবশ্যই প্রয়োজন (With Professional Photo)
২. রেফারেন্স যোগার করতে পারলে ভালো, কিন্তু না পারলেও অসুবিধা নেই। এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা বলে, Quality of an application is more important than Quantity. আপনি ২০০ টা জায়গায় এপ্লাই করতে পারেন কিন্তু সব জায়গায় একই Resume দিলেন তাহলে হবে না। তার চেয়ে ৫০ টাতে করুন, কিন্তু Resume/Cover Letter যাতে Job-specific হয়।
৩. Application করার সময় কোন মিথ্যা তথ্য না দেওয়াই ভালো, কোন না কোন পর্যায়ে এটা ধরা পড়বেই।
৪. বিভিন্ন জব সার্চ ওয়েবসাইটে প্রোফাইল থাকলে ওরা আপনার কোয়ালিফিকেশনের উপর ভিত্তি করে চাকরির খবর পাঠাবে। যাদের হাতে চাকরি খোঁজার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে না, তাদের জন্য এটা বেশ কাজের।
আগামী পর্বে কথা বলব ইন্টারভিউ নিয়ে। বলা বাহুল্য, এসবই আমার নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা, তাই কারও যদি কিছু যোগ করার থাকে, কোন মতামত, সাজেশন থাকলে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ থাকল।
Happy Job Hunting!
পর্ব-১ (Apply for OPT) এখানেঃ https://higherstudyprep.com/blog/job-in-usa-apply-for-opt-part-1/
লেখক পরিচিতিঃ
Test Engineer, Itron Inc.
Former teaching assistant and Math tutor, South Dakota State University,
Former Treasurer, Eta Kappa Nu (HKN)
===========================================================================================
যারা জি,আর,ই ভারবাল নিয়ে চিন্তিত তারা ভিডিও গুলো দেখতে পারেনঃ জি ,আর, ই হাই ফ্রিকুয়েন্সি ওয়ার্ড
জি,আর,ই জিওমেট্রি পার্ট নিয়ে যারা চিন্তিতঃ জিওমেট্রি ইন ওয়ান প্লে লিস্ট
You would also like to know: I20 is the most important document that you will need for a student visa in the USA.
Related Posts
- আমি কিভাবে প্লেনের টিকেটে ২৫ হাজার টাকা সেভ করলাম
- উদ্দেশ্য - Permanent Residence (PR)
- কানাডিয়ান ম্যাপল দেখবো বলে! পর্বঃ ৪
- কানাডিয়ান ম্যাপল দেখবো বলে! পর্বঃ ৩
- কানাডিয়ান ম্যাপল দেখবো বলে! পর্বঃ ২
Recent Posts
- GRE verbal reasoning effective time management strategy
- Should you take home based GRE test?
- IELTS প্রবচন পর্ব - ০৮
- উচ্চশিক্ষায় সিজিপিএ বনাম জিআরই
- জি আর ই সম্পর্কে জানা অজানার কিছু মজার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
Categories
- Interview
- Tutorial
- Standard Test
- Documents
- Decision Making
- Preparation
- Funding
- University Selection
- Living Abroad
- Others
- Scholarship
- Journals
- Application
- Research
- Life in USA
- International Tour
- Job
Tags
- USA
- Speaking
- IELTS
- GRE Math
- TOEFL
- GRE
- Europe
- SOP
- Sweden
- Canada
- video
- Research
- Mechanical
- Texas
- Miscellaneous
- Passport
- Resume
- CV
- Letter of Recommendation
- GMAT
- Germany
- Japan
- University Ranking
- Fulbright
- SAT
- publications
- Professor
- Masters
- PhD
- Back Bencher
- Low CGPA
- Australia
- Listening
- Study Plan
- Scholarship Application Bangladesh
- Commonwealth Shared Scholarship
- Merit Scholarships
- How to apply for commonwealth scholarship
- Chevening scholarship bangladesh
- Scholarship for bangladeshi students
- Advice
- Ethics
- higher study prep gre test prep
- VISA
- Wi-Fi
- Business graduate
- Air ticket
- Switzerland
- MBBS
- Medical
- Learning english
- Statement of Purpose
- GRE Verbal